দিন কেটে যায়, জীবন এঁকে যায়,
যাক না বয়ে সে অলীক বাষ্পের ধারা।
ছুঁড়ে দেই সুখ অথবা কোনো ভোগ,
ঠিক যেন ক্ষুধার্ত কুকুরকে ছুঁড়ে দেয়া বাসি রুটি।
ঠিক তেমনই ছুঁড়ে যেন দিয়েছিলেন ঈশ্বর আমাদের,
যেমনটি ছুঁড়েছিলাম রুটি।
কিংবা লোভে যেন খেলেছিলাম জুয়া,
যেমনটি খেলেছে ঈশ্বর সকলকে নিয়ে প্রতি নিয়ত।
রক্ত ছাড়া আর কি বা বইবে,
ঈশ্বর, তোমার যে চোখে শুধু পাথরের দৃষ্টি।
তবু তোমার ঘরে আছড়ে পড়ে সকলের মন.
ঘরের কত রূপ তোমার?
মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা? নাকি অন্যকিছু?
একবার করে দেখো মন আমাদের মতো!
চিৎকার ছাড়া আর কিছুই পারবেনা।
মাটি থেকে যখন বানিয়েছিলে,
মনটাও ছিল আমাদের মাটি।
কিন্তু আজ তোমার পাথর চোখে তাকিয়ে,
আমরাও হয়েছি পাথর হৃদের অধিকারী।
নদীর রুক্ষতায় যেন পাই তোমার নিঃশ্বাস,
নীচ হতে নীচতর সে স্রোতের মতই যেন গভীর।
আরও কি গভীরতার প্রয়োজন তোমার?
আমাদের ব্যথার সাগর যে আরও গভীর ঈশ্বর।
তুমি কি চাও সেখানে করতে স্নান?
তুমি থাকো ঠিক তোমারই ন্যায়।
ঘুমাও তুমি, ঘুমাতে দাও আমাদের।
আর আমার কিছুই বলবার নেই।
তোমার কথা সব নক্ষত্রে লিখিত হবে,
একটি ক্ষত-বিক্ষত, রক্তাক্ত হৃদয় দিয়ে।
ঘুমাও তুমি, তুমি ঘুমাও……………..